বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
বেরোবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে অবরোধ কর্মসূচি চলে। পরে অপরাধীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় রংপুরের মর্ডান মোড়ে ভাড়া নিয়ে বিবাদে বেরোবির ৫ শিক্ষার্থীকে পেটায় বাসচালক ও হেল্পাররা। এ খবর জানাজানি হলে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় রাস্তার দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের শাস্তির আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
এতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
এ ঘটনায় আহত ৫ শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী (১৪ ব্যাচ) আশিক মন্ডল, আলামিন, নয়ন, ফয়সাল ও নাহিদ। আহতদের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শেখ মাজেদুল হক বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার শিক্ষার্থীরা আহত হোক এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। তারা বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার উপপরিদর্শক হোসেন আলী বলেন, অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
আরও দেখুনঃ

