রংপুর জেলার ব্যবসা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় রংপুর জেলার ব্যবসা।

রংপুর জেলার ব্যবসা:-

রংপুর জেলা ২৫°০৩˝ থেকে ২৮°২৮˝ অক্ষাংশে এবং ৮৮°৪৫˝ থেকে ৮৯°৫৫˝ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর উত্তরে নীলফামারী জেলা ও লালমনিরহাট জেলা, দক্ষিণে গাইবান্ধা জেলা, পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর জেলা। মোট আয়তন ২,৩০৮ বর্গকিলোমিটার (৮৯১ মা)। আটটি উপজেলা, ৭৬ টি ইউনিয়ন, ১৪৫৫টি মৌজা এবং ১টি সিটি কর্পোরেশন, ৩টি পৌরসভা নিয়ে রংপুর জেলা গঠিত। তিস্তা নদী রংপুর জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তকে লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলা থেকে আলাদা করেছে।

রংপুর জেলাকে বৃহত্তর বঙ্গপ্লাবন ভূমির অংশ মনে করা হয়। কিন্তু ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গঠন দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আলাদা। এ জেলার ভূগঠন অতীতে উত্তরাঞ্চল প্রবহমান কয়েকটি নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং ভূকম্পনজনিত ভূমি উত্তোলনের সাথে জড়িত। তিস্তা নদীর আদি গতিপথ পরিবর্তন ছিল রংপুর জেলার ভূমি গঠনের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তা নদী ১৭৮৭ সালের পূর্বে গঙ্গানদীর একটি উপনদী ছিল।

তিস্তা সিকিম বা হিমালয়ে পরিচিত রাংগু ১৭৮৭ সাল পর্যন্ত দিনাজপুর জেলার নিকট আত্রাই এর সাথে মিলিত হয়ে নিম্ন গঙ্গা নদীতে পতিত হতো। ১৮শ শতকে তিস্তা, আত্রাই নদীর পথ ধরে গঙ্গা ও বিছিন্ন কিছু খাল বিলের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্র, উভয় কিছু নদীর সাথে ঋতু ভিত্তিক সংযোগ করত।

অপর নদী ধরলা তিস্তা থেকে নিম্ন হিমালয় অঞ্চল বৃহত্তর রংপুর জেলার পূর্ব দিক দিয়ে (বর্তমান কুড়িগ্রাম) ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়েছে। ঘাঘট এ জেলার অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ নদ । ঘাঘট তিস্তার গর্ভ থেকে উৎপন্ন হয়ে রংপুর জেলার মধ্য দিয়ে দক্ষিণে গাইবান্ধা জেলা অতিক্রম করে করতোয়া নদীতে পতিত হয়। আত্রাই নদী এ সময় করতোয়া ও গঙ্গার মধ্যে সংযোগ রক্ষা করত।

 

রংপুর জেলার ব্যবসা
কারমাইকেল কলেজ – রংপুর জেলা

 

রংপুর অঞ্চলকে তামাকের জন্য বিখ্যাত বলা হয়। এখানে উৎপাদিত তামাক দিয়ে সারা দেশের চাহিদা মেটানো হয়। রংপুরে প্রচুর পরিমাণ ধান-পাট-আলু ও হাড়িভাঙ্গা আম উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় বাজার তথা সারাদেশের বাজারে সমান হারে সমাদৃত। তাছাড়াও সম্মিলিত খামার গড়ে উঠছে যা অর্থনীতিতে ব্যাপক হারে প্রভাব ফেলছে। এছাড়া ৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক বাহক বর্তমানে জিআই পণ্য শতরঞ্চি এর রংপুর মুঘল আমল থেকে বিখ্যাত।

বৃহৎ শিল্পঃ-

শ্যামপুর সুগার মিল——-চিনি শিল্প——-১টি (সরকারী)

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন, বদরগঞ্জ, রংপুর।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

মাঝারী শিল্পঃ-

খাদ্য জাত—————————————২২টি

(সয়াবিন, আলু সংরক্ষণ ও অটো রাইচ মিল)

বনজ ও সহায়ক শিল্প (পার্টিকেল বোর্ড)———০২টি

প্রকৌশল শিল্পঃ——————————–০৭টি

(ঢালাই কারখানা ও এ্যালুমিনিয়াম তৈজষপত্র)

বিবিধ——————————————০২টি

(সিগারেট তৈরী কারখানা)

মোট= ৩৩টি

 

রংপুর জেলার ব্যবসা
তাজহাট রাজবাড়ী – রংপুর জেলা

 

ক্ষুদ্র শিল্পঃ-

খাদ্য ও সহায়ক শিল্প—————————১,৬২৫টি

বস্ত্র ও সহায়ক শিল্প—————————-২০টি

পাট ও সহায়ক শিল্প—————————০৩টি

বনজ ও সহায়ক শিল্প————————-২৯১টি

ছাপাখানা ও প্রকাশনী————————-৯৬টি

চামড়া ও রাবার শিল্প————————–০২টি

রসায়ন ও ফার্মাসিউটিক্যালস—————–২৮টি

প্রকৌশল শিল্প——————————-৩৫৭টি

বিবিধ—————————————১৪২টি

মোট= ২৫৬৪টি

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment