রংপুরের পীরগঞ্জ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে সরিষার আবাদ ,জেলার পীরগঞ্জে উপজেলায় সরিষার চাষ এবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অনেকেই ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিনের পরিবর্তন এখন সরিষার তেল ব্যবহার করছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, উপজেলায় সরিষার চাষ এবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে চলতি মওসুমে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর। চাষ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। কৃষক তাদের জমিতে উৎপাদিত সরিষা থেকে তেল উৎপাদন করছেন। অনেকেই ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিনের পরিবর্তন এখন সরিষার তেল ব্যবহার করছেন।
রংপুরের পীরগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে সরিষার আবাদ ও বেড়েছে তেল উৎপাদন
উপজেলায় সরিষার তেলের বেচাকেনা বেড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। দিবা-রাত্রী মাড়াই হচ্ছে সরিষার। মিলগুলোতে ধুমসে চলছে সরিষা মাড়াইয়ের কাজ।সরিষা চাষি শমসের পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, নিজেদের জমির আবাদি সরিষা তেলের স্বাদ, ঘ্রাণ, গুণগতমানের দিক দিয়েও অনেক ভালো। যে কারনে সরিষার তেলের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়েছেন তিনি। সয়াবিনের স্বল্পতার কারণে এখন মানুষ সরিষার তেলের দিকে ঝুঁকছে। তিনি এক
একর জমিতে সরিষার চাষ করে নিজের সংসারে নিজের তেলের চাহিদা পূরণ করে বাজারেও বিক্রি করছেন।কাঙ্গুরপাড়া গ্রামের সরিষা চাষি আব্দুল মোতালেব জানান, তিনি প্রতিবছর সরিষা চাষ করে থাকেন। এ বছর সরিষার ফলন ভালো হয়েছে তিনি জমিতেই সরিষা মাড়াই করছে। সয়াবিন তেলের দাম বেশি যে কারনে তাদের পরিবারে নিজেদের উৎপাদনের সরিষা থেকে তেল বানিয়ে সয়াবিনের চাহিদা মেটাচ্ছেন। বাজারে এক ক্রেতা আফছার আলী জানান, সয়াবিন তেলের উপর তিনিও নির্ভর করে ছিলেন, বর্তমানে এলাকায় সরিষার চাষাবাদ প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। তাই তিনি বাজার থেকে সরিষা কিনে মিল থেকে তেল মাড়াই করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরোও পড়ুনঃ
